১৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:১২

প্রাণ রক্ষায় সেনানিবাসে ৬২৬ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন, জানাল আইএসপিআর

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর  © ফাইল ছবি

৫ আগস্ট সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে প্রাণ রক্ষার জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ৬২৬ জনকে সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। রোববার (১৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, ৬১৫ জন সেনানিবাস ত্যাগ করেছেন। অভিযোগ ও মামলার ভিত্তিতে চারজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও সাতজন সেনানিবাসে রয়েছেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এ সময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ নাগরিকরা সেনানিবাসে আশ্রয় চান। এর প্রেক্ষাপটে বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ, জীবনরক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়।

যাদের আশ্রয় দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তি। এছাড়া ৫ বিচারক, ১৯ বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ পুলিশ কর্মকর্তা, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ব্যক্তি ১২ জন। আর ৫১ জন পরিবার-পরিজন। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন সেনানিবাস ত্যাগ করেন। এখন পর্যন্ত ৪ জনকে যথাযথ আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: এক মাস পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়ে, ৩ জন ও তাদের পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৭ জন সেনানিবাসে অবস্থান করছেন। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়কে তথ্য প্রদান করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ, পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

এ ক্ষেত্রে গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শনের অনুরোধ করা যাচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনসাধারণের পাশে আছে বলে জানানো হেয়েছে।