আন্দোলনের ২৯ দিনে নিহত বেড়ে ৬১১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতের মধ্যে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারেও বিক্ষোভ হয়। এ সময় তিন কারাবন্দি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা মারা যান।
নিহতরা হলেন মো. জাবেদ, মো. সোহান ও অনাদি হাওলাদার। মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য দেন।
হাসপাতাল ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ, নাশকতাসহ অন্যান্য ঘটনায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৬১১ জন নিহত হয়েছে।
তবে সরকারিভাবে এ পর্যন্ত কতজন নিহত হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানানো হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো এ নিয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় দেড় শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে কারাবন্দি জাবেদের বড় ভাই মো. ফারুক বলেন, ৬ আগস্ট কারাগারের ভেতরে আসামিরা বিক্ষোভ করেছিলেন।
সেখানে জাবেদের মুখ ও কানে গুলি বিদ্ধ হয়। কারারক্ষীরা তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক মিরপুরের ডেন্টাল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে হাওলাদারকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে ২০ জনের মরদেহ রাজধানীর দুটি হাসপাতালের তিনটি মর্গে পড়ে থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই লাশগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না জানিয়ে গতকাল বিকেলে হাসপাতাল সূত্র জানায়, থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এসব লাশের সুরতহাল করা যাচ্ছে না। লাশগুলো পচে ফুলে গেছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের খোঁজে মর্গে আসেনি কেউ।
মর্গ সূত্র জানায়, এসব লাশের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে আটটি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ৯টি এবং শেরেবাংলানগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তিনটি মরদেহ রয়েছে।