১১ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১৪

বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হয়েছে: তারেক রহমান

কার্টুনিস্ট মেহেদী হকের আঁকা একটি কার্টুন এবং তারেক রহমান  © সম্পাদিত

দেশে গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনে পত্র-পত্রিকায় দেশের রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার সংখ্যা কমেছিল। কার্টুনিস্টদের মামলা ও গুম-খুন এবং হুমকির কারণে এটি কমেছে। রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার দায়ে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল। অন্যদিকে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ফেসবুকে একটি বিদ্রুপাত্মক কার্টুনের ক্যাপশন দেওয়ার অভিযোগে লেখক মুশতাক আহমেদ কাশিমপুর কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় মারা যান।

এবার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার দাবি—আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর দেশে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে কার্টুনিস্টরা শিগগিরই আবারও নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকা শুরু করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা: গণতন্ত্রের আইকন যেভাবে একনায়ক

রবিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে বলেন, আমি আনন্দিত যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ২০০৬ সালের আগে বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট, বিশেষ করে শিশির ভট্টাচার্য প্রায়ই আমার মা (খালেদা জিয়া) এবং আমাকে নিয়ে কার্টুন তৈরি করতেন।

তিনি বলেন,  গত ১৫ বছরে আমরা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে জোরপূর্বক গুমের শিকার হতে দেখেছি। তার কাজের জন্য অকল্পনীয় নির্যাতন এবং কারাবরণ সহ্য করতে হয়েছে। আরও অনেকে একই ধরনের নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন। শিশির ভট্টাচার্য অবশেষে কার্টুন তৈরি করা বন্ধ করে দেন। 

আমি কার্টুনিস্ট মেহেদীর ভক্ত জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিশির ভট্টাচার্যের কাজও উপভোগ করতাম। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, তিনি শিগগিরই আবারও নিয়মিত রাজনৈতিক কার্টুন তৈরি করা শুরু করবেন।