১০ আগস্ট ২০২৪, ১৮:২২

৮ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের

৮ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের  © টিডিসি ফটো

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরই সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত দেশের কয়েকটি স্থানে এই হামলা চলমান থাকায় তার প্রতিবাদে ৮ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।

শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শাহবাগে এসে জড়ো হয়েছেন হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকরা। এই মুহূর্তে হাজার হাজার জনতা ভিড় করেছেন শাহবাগ চত্বরে। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

এসময় তাদের কারও কারও ব্যানারে ৮ দফা ও কোনো ব্যানারে ৬ দফা দেখা যায়। তাদের দাবিগুলো হলো-

১। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। 
২। অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন' প্রণয়ন করতে হবে। ৩। 'সংখ্যালঘু' বিষয়ক মন্ত্রণালয়' গঠন করা।

৪। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা।

৫। ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করা।

৬। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করা।

৭। ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করা।

৮। শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দেওয়া।

আন্দোলনরত অলক কুমার নামের একজন বলেন, ৫ তারিখ সেনা প্রধান তার বক্তব্যে বলেছেন তিনি সকলের নিরাপত্তা নিজের দায়িত্বে নিয়েছেন। কিন্তু তারপর এত হিন্দু জনতার উপর হামলা, মন্দির ভাঙচুর, মারধর, লুটপাট নির্যাতন হয়েছে কিন্তু আমরা কোনো বিচার পাইনি কেন? তারা কি দায়িত্ব নিল যে একটা সেনাবাহিনী, পুলিশ আমরা সেখানে পেলাম না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।

তবে এই আন্দোলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিচারের দাবিতে অনেক মুসলিম জনতাকেও অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।