নাহিদ ও আসিফের উপদেষ্টা হওয়া সমর্থন করেন ৮৮ শতাংশ
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের অংশ হয়ে তাঁরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এর পূর্বে কখনো কোনো ছাত্র বা এত স্বল্প বয়সী কেউ সরকারের অংশ হননি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া এই দুই সমন্বয়কের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিষয়টি নিয়ে মতামত প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে পাঠকের মতামত জরিপ করেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। এতে নাহিদ ও আসিফের উপদেষ্টা হওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করেন ৮৮ শতাংশ পাঠক। সঠিক হয়নি মনে করেন ৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এবং এখনই মতামত দেওয়ার বিপক্ষে ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। জরিপে প্রায় ৪ হাজার পাঠক অংশ নেয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান। পরে বঙ্গভবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৬ উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। তাদের শপথও পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
জানা গেছে, নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে গণমাধ্যমে পরিচিতি পান এই দুই শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম দফায় কারফিউ জারি করার পর এ দু’জনকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এরপর রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্য কয়েকজন সমন্বয়কের সাথে ফের তাদের তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। পরে তাদের দিয়ে একটি ভিডিও বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তারা আবার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং এর ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করেন।