০৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫১

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চাওয়া নাহিদ-আসিফই এখন চালাবেন সরকার

শপথ নিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া  © বিবিসি বাংলা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা দু’জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটিয়েছেন তারা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান। এছাড়াও বঙ্গভবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৬ উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। তাদের শপথও পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।

জানা গেছে, নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে গণমাধ্যমে পরিচিতি পান এই দুই শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম দফায় কারফিউ জারি করার পর এ দু’জনকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এরপর রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্য কয়েকজন সমন্বয়কের সাথে ফের তাদের তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। পরে তাদের দিয়ে একটি ভিডিও বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তারা আবার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং এর ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন: আবদার-তদবির করলে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে

সহিংসতায় রূপ নেয়া এই আন্দোলনের চাপে পাঁচই অগাস্ট গণভবন ঘেরাও করতে যায় ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভের মুখে সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামের একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা। নাহিদ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আর আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক।

আসিফ মাহমুদ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা ছিলেন। গত বছর ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে কয়েকজন নেতাকর্মী ছাত্রশক্তি নামের এই সংগঠন গড়ে তোলে। বিবিসি বাংলা।