০৮ আগস্ট ২০২৪, ২২:০৮

হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

  © সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকালে কাশিয়ানীতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে ঘোনাপাড়া ও তিলছড়া বাজার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে রামদা, কুড়াল, ঢাল, লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। পরে স্বেচ্ছায় তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মকিমুল ইসলাম বলেন, অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হোক। এ ছাড়া একটি মহল শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাকে দেশ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। এ জন্য আমরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে যাবো আমরা।

এদিকে, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি পাটগাতি বাসস্ট্যান্ড ও বাজার হয়ে একই স্থানে ফিরে আসে। পুনরায় সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়।

পরে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদির সামনে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন। বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন থেকে ১৫ হাজারের মতো কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। শপথে তারা বলেন, আজ থেকে তাদের আন্দোলন শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। পরে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা, সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ সেনাবাহিনীর উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, জাতীয় সংসদ ভবন লুট করা হয়েছে, গণভবন লুট করা হয়েছে, আপনারা কোথায়? কেউ তো রক্ষা করতে এলেন না।