০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৫

দেশ চালানো সহজ নয়, দেখি ড. ইউনূস কেমন চালান: জয়

ড. ইউনূস ও সজীব ওয়াজেদ জয়  © সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কীভাবে দেশ চালাতে পারবেন সেটা দেখতে চাই। দেশ চালানো অত সহজ কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

জয় বলেন, শেখ রেহানা, তার দুই সন্তান অথবা আমার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। শেখ হাসিনা আপাতত ভারতেই থাকবেন। তার মার্কিন ভিসা বাতিল হওয়ার বিষয়টি গুজব।

প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে গত সোমবার ভারতে পারি জমান শেখ হাসিনা। তিনি এখন ভারতের রাজধানী দিল্লীতে আছেন। দিল্লীতে বসবাসরত তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তার সঙ্গে আছেন বলেও জানিয়েছেন জয়।

জয় দাবি করেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদিন আগে (রোববার)। আমরা কয়েকজন শুধুমাত্র জানতাম যে তিনি ঘোষণা দেবেন, তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সংবিধান অনুযায়ী যাতে একটি ট্রানজিশন অব পাওয়ার হয় সেটাই ছিল ওনার প্ল্যান৷ তবে যখন তারা ঐ গণভবনের দিকে মার্চ করা শুরু করলো। তখন আমরা ভয়ে বললাম যে, আর সময় নেই। তোমার এখনই বেরিয়ে যেতে হবে। তবে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন।

জয় আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) দুঃখিত যে দেশের জন্য এত পরিশ্রম করেছেন, এত উন্নয়ন করেছেন, সেই দেশের মানুষ তাকে এভাবে অপমান করে বের করে দেবে, তার ওপর আক্রমণ করতে যাবে–এটা আমরা কল্পনা করতে পারিনি।

তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা কিংবা তার দুই সন্তান কারোরই আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগের দায়িত্বে কে থাকবেন তা নির্ধারণ করা আমাদের দায়িত্ব নয়।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না এমন শঙ্কা আছে বলে জানিয়ে জয় বলেন, দেশের মানুষের জন্য এত কাজ করেও শেখ পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের এমন আচরণ নিয়ে কিছুই বলার নেই।

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত

সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) ভালো আছেন তবে উনার মন খারাপ, যেই দেশের জন্য উনার বাবা জান দিয়েছে, পুরো পরিবার জান দিয়েছে, তিনি জেল খেটেছেন, সেই দেশের মানুষ তার ওপর আক্রমণ করতে যাবে তা আমরা কল্পনাও করিনি। এটাকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলা হচ্ছে কিন্ত জ্বালাও পোড়াও করা, পুলিশের ওপর আক্রমণ করা, প্রধানমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ করা, তার বাড়ি ভাঙচুর করা-এটাতো আন্দোলন না, এটা মব, এটা সন্ত্রাস।