০৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৯

পুলিশ নেই ঢাকার ‘বেশিরভাগ’ থানায়

মিরপুর মডেল থানার চিত্র  © সংগৃহীত

ঢাকার যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, আদাবরসহ বিভিন্ন থানায় রাতভর হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সোমবার দিনব্যাপী থানায় থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। অনেক জায়গায় পুলিশের সাথে বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়। অবশ্য রাতে বিভিন্ন থানা থেকে সরে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিবিসি বাংলার সংবাদ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পুরো থানা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। থানা ভবনের কয়েকটি রুম থেকে ধোঁয়া উড়ছে। থানা প্রাঙ্গণে দেখা যায় পুড়ে যাওয়া বেশ কিছু গাড়ি, আসবাবপত্র।

থানার ভেতর থেকে ফ্যান, চেয়ার-টেবিলসহ সব ধরনের জিনিসপুত্র লুট হয়ে গেছে। থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা রবিবারই নিরাপত্তা সংকটের কারণে থানা ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। মোহাম্মদপুর থানায় একজন এসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, থানার ভেতরে থাকা ‘সকল অস্ত্র এবং গোলাবারুদ লুট হয়ে গেছে। তবে হাজতখানায় যেসব আসামমি ছিল সোমবার সকালের মধ্যেই তাদের আদালতে পাঠিয়ে দেয়ায় কোনো আসামির ক্ষতি হয়নি।’

নিকটস্থ আদাবর থানাতেও ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। থানার সামনে রাখা যানবাহন, মোটরসাইকেল এবং থানার ভেতরের জিনিসপত্র রবিবার রাতেই লুট হয়ে গেছে বলে জানা যায়। এই থানাতেও কোনো পুলিশ সদস্য দেখা যায়নি। সোমবার বাড্ডা এবং ভাটারা থানাতেও হামলা হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় থানা ভবন। থানার বাইরে রাখা সরকারি গাড়ি এবং থানার ভেতরে সবকিছুই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এসময় পুলিশের তরফ থেকে গুলি ছোড়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। পরে এই দুটি থানা থেকেও সরে গেছেন পুলিশ সদস্যরা।

এছাড়া খিলগাঁও, কদমতলী, উত্তরা পূর্ব, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, লালবাগসহ বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা সোমবার সরে যান। এসব থানায় একের পর এক হামলার মুখে নিরাপত্তার কারণে থানা ভবন ত্যাগ করার নির্দেশনা আসে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির একটি থানায় কর্মরত কর্মকর্তা। বংশাল, বাড্ডাসহ কোনো কোনো থানার পুলিশ সদস্যরা সোমবার রাতে থানা ত্যাগ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আশ্রয় নেন। এসময় কোথাও কোথাও হামলার মুখে গুলি ছুড়তে দেখেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বংশালের কয়েকজন বাসিন্দা।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে, রাজারবাগের পুলিশ লাইনসে সাইরেন বাজতে দেখা গেছে। গণমাধ্যমের বরাতে বলা হচ্ছে, ঢাকার ৫০টি থানার অধিকাংশই পুলিশবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এই বিষয়ে জানতে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।