বিটিভিতে আনন্দ-উল্লাসের খবর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবরে সারা দেশে আনন্দ উল্লাসে মাতেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনসাধারণ। সাধারণ মানুষের উল্লাসের সংবাদ রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) লাইভ প্রচার করছে বিটিভি। ‘ছাত্র-জনতার উল্লাস’- হেডলাইনে বিটিভিতে লাইভ প্রচার চলেছে।
এদিকে, বিক্ষুব্ধ জনতা ৭১ টিভি ও সময় টিভি, এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ, গান বাংলা, বিজয় টিভি, মাই টিভির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এতে সাত টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া একাধিক টেলিভিশনের গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোনের একাত্তর টিভির কার্যালয় এবং বাংলামোটরের সময়টিভির স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়। একাত্তর টেলিভিশনের বারিধারার কার্যালয়ের সামনে রাখা একাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে চেয়ার–টেবিল, টেলিভিশন ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে টেলিভিশনটির একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন।
বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে সময় টেলিভিশনের কার্যালয়ের নিচে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। সময় টেলিভিশনের কার্যালয়ে থাকা সংবাদকর্মীরা যে যে অবস্থায় ছিলেন, সে অবস্থাতেই বের হয়ে যান বলে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মী জানান।
আরও পড়ুন: দেশের সাত টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ
একই দিন কারওয়ান বাজারে এটিএন বাংলার কার্যালয়ের সামনে রাখা একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এটিএন বাংলা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে স্টেশনে হামলা চালায় তারা। এতে এটিএন বাংলার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। কারওয়ান বাজারে আরেক গণমাধ্যম এটিএন নিউজের সামনে রাখা গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।