ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন গ্রাহকরা
আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে। যার ফলে বিভিন্ন স্থানে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথগুলো থেকে টাকা তোলার হিড়িক দেখা গেছে। আন্দোলন ভবিষ্যতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে কি না এমন ভীতি থেকে ব্যাংকের এটিএম এবং এজেন্ট পয়েন্টগুলো থেকে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা তুলে রাখছেন তাঁরা। বুথের সামনেই গ্রাহকদের লাইন ধরে টাকা তুলতে দেখা গেছে।
গ্রাহকরা বলছেন, কারফিউ দেয়ার শুরুতে এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তারা কেবল ব্যাংক নয় এমএফএস থেকেও টাকা তুলতে পারেননি। তাই আগে ভাগেই বাসায় নগদ টাকা তুলে রাখছেন। কেউ কেউ এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছোটাছুটির পরেও টাকা তুলতে না পেরে খালি হাতে বাসায় ফিরেছেন।
গতকাল সিলেটের শিবগঞ্জ, জিন্দাবাজার, উপশহর এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীর কাকরাইল, কমলাপুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও দেখা গেছে এমন চিত্র।
এর আগে কারফিউকালে হঠাৎ ব্যাংক বন্ধ থাকায় নগদ টাকার সংকটে পড়তে হয়েছিল। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নগদ টাকা বেশি করে তুলে রাখতে হচ্ছে বলে জানান অনেক গ্রাহক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকিং স্বাভাবিক সময়ে চলবে। আতঙ্কের কিছু নেই। তবে গ্রাহকের আতঙ্কের কারণে বেশি টাকা তুললে সেটা নিয়ে কিছু করার নেই। ডিজিটাল লেনদেনের স্বার্থে ব্যাংকগুলোর বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশনা আগে থেকেই দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে যদি অস্বাভাবিক লেনদেন হয় সে ক্ষেত্রে তো সমস্যা হবে। আর নেটওয়ার্ক জটিলতার বিষয়টি ব্যাংকগুলোর নিজস্ব বিষয়। আর কোনো ব্যাংকের লেনদেনসহ যাবতীয় অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিই। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর ভোল্টসহ সব শাখা-উপশাখায় নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।