আমার চলার পথ সহজ ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। যেখানে গেছি সেখানে হামলার শিকার হয়েছি। আমার চলার পথ সহজ ছিলো না।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে কৃষকলীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় কৃষক লীগের পক্ষ থেকে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ঘুরে দেখেন তিনি। পরে আলোচনা সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সহযোগী সংগঠনের নেতারা দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও দলের কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য রাখছেন তিনি। এছাড়া এ আয়োজনে ঢাকা মহানগরী থেকে কৃষক লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফিরে এসে বারবার ঘাতকের হুমকি ও মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে বহু চাপ ও হুমকি এসেছে। আজকের তরুণ প্রজন্ম যাদের বয়স ২০ বছর তারা কল্পনাও করতে পারবে না কেমন ছিল আওয়ামী লীগের আগের বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নতির শিখরে উঠছে তখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গটিও প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উঠে এসেছে। সরকারপ্রধান বলেন, ‘যেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি শতভাগ মেনে নেওয়া হয়েছে, সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা আছে।’
এদিকে শোকের সাসকে ঘিরে আগস্টের প্রথম প্রহর থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীপ। বাঙালির চিরতম শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষ্যে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর শাহবাগ প্রদান চতুরে সোমবাতি জ্বালিয়ে সানব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ সভাপতি সামাদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার সুচিন্তিত নূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন ক্রমান্বয়ে ফিরে আসছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি বাসন, কোটা সংস্কার ইসুতে ছাত্রলীগ যৌক্তিক কার্যকরও পরিচালনা করেছে। ছাত্রলীপ কোটা সংস্কারের দাবিতে সমাবেশ, মিছিল করেছে। পলিসি অ্যাডভোকেসি। আমরা দায়িত্বশীল শান্তিপূর্ণ আচরণ করেছি। যে কোনো মূলো সংঘাতের ঘটনা যেন ত ঘটে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা-আ্যাবাচেদিক পরিবেশ নিশ্চিতের কথা বাসছে গাত্রলীগ। আমরা সবসদর বলেছি, এ আন্দোলনে কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না, যার ব্যাপারে সরকার আন্তরিকভাবে আদালতের মাধ্যমে আইনগত্য সমাধানের পক্ষে।