গুলিতে নিহত চার শিশুর পরিবারকে চার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট
দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত চার শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রিট আবেদন করা হয়েছে। এই ঘটনায় একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
গুলিতে নিহত চার শিশু হলেন- আব্দুল আহাদ (৪), রিয়া গুপ্তা (৬), সাফকাত সামির (১১) ও নাইমা সুলতানার (১৫)।
রিটে শিশুদের প্রত্যেক পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন চারতলার বারান্দায় গুলিতে নিহত নাইমা আক্তার সুলতানা। একই দিন কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে মিরপুর ১৪ নম্বরের হাউজিং স্টাফ কোয়ার্টারে সাফকাত সামির (১১) ও তার চাচা মশিউর রহমান (১৬) বাসার বেডরুমে জানালার পাশে টেবিলে বসে পড়াশোনা করছিল। এসময় দুষ্কৃতকারীর একটি গুলি মশিউরের ডান কাঁধ ভেদ করে সামিরের ডান চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। সামিরকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এছাড়াও কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় পরিবারের সবার সঙ্গে বাসার ছাদে গিয়েছিল ছয় বছরের ছোট্ট মেয়ে রিয়া গোপ। হঠাৎ গুলি এসে লাগে প্রথম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর শরীরে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার মারা যায় সে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় শুক্রবার ৮ তলা বাসার বারান্দায় বাবা-মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তা দেখছিল চার বছরের ছোট্ট আব্দুল আহাদ। তখনই তার ডান চোখ ভেদ করে মাথার ভেতরে গুলি লাগে তার। মুহূর্তেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই বারান্দার রেলিং ছেড়ে লুটিয়ে পড়ে আহাদ। এরপরই মৃত্যু হয় তার।