২৯ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪০

পুলিশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের  © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এ সকল সন্ত্রাসী ঘটনার মদদদাতা ও অর্থের জোগান দাতাদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুধু তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দেয়া হচ্ছে। মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে বর্তমান সরকারকে নিশানা করেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে এবং সরকার তাদের সকল দাবি পূরণ করেছে। অথচ মির্জা ফখরুল এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন।

তিনি বলেন, যে কোনো আন্দোলন দেখলেই বিএনপি সেখানে অনুপ্রবেশ করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে উন্মত্ত হয়ে ওঠে। বারবার তারা (বিএনপি) জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন কেবল জনরায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার জনগণের রায় নিয়ে সাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সকল উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখেও সরকার সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শন করেছে এবং জনগণকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এই সন্ত্রাস-সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রকাশ হয়নি মর্মে মন্তব্য করেছেন। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নাশকতায় নিহতের সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছেন।