শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝানো হয়েছিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া সহিংসতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। গণমানুষের শত্রু জামায়াত-বিএনপি আর জঙ্গিই এই নাশকতা করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৭ জুলাই) হামলা অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ৯টি স্থান-স্থাপনা পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লুট করা অস্ত্র এখন জঙ্গিরাই ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ কায়েম করতেই সংঘবদ্ধভাবে অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনগণের ওপর সহিংসতায় হতবাক কানাডা: হাইকমিশনের বিবৃতি
যাত্রাবাড়ীর পর মন্ত্রী ঘুরে দেখেন হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা, মাতুয়াইল তুষারধারা এলাকা, নারায়ণগঞ্জের পুড়ে যাওয়া হাসপাতালের ধ্বংসযজ্ঞ। হাসপাতালটিতে যখন আগুন দেওয়া হয় তখন নবজাতক, মা ও রোগীদের আর্তচিৎকার শোনেনি দুর্বৃত্তরা। সে কথাই মন্ত্রীকে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাইনবোর্ডের পিবিআই অফিসেও দেয়া হয় আগুন। সেখানেও যান মন্ত্রী। পরিদর্শন করেন ভাঙচুর হওয়া জেলা পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ লাইনস।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি মহল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন যে ৮ দফা দাবি দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢালাওভাবে মামলা-গ্রেপ্তার বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি সুজনের
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারী তিনজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারা তাঁদের আক্রমণ করতে চায়, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বাতিল চেয়ে আন্দোলনে নামে বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলন তীব্র হতে থাকলে তা দমাতে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকার সমর্থকরা। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালাতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২শ’র বেশি নিহত এবং কয়েক হাজার আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।