শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আরও ৫ মামলা, নাম উল্লেখ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জনের
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ভাংচুর ও সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আসামি করা হয়েছে আরও পাঁচটি মামলায়। এর মধ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষার্থী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিভাগও উল্লেখ করা হয়েছে আসামির তালিকায়।
এর বাইরে পুলিশকে মারধর ও জখম এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার রূপনগর থানায় দু’টি মামলা হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এতে অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীসহ এক থেকে দেড় হাজার আসামি করা হয়েছে। একটি গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাতনামা ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধেও আশুলিয়া থানায় আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে শাহবাগ থানায় ১১টি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলার বাদী পুলিশ এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা।
শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করে মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আন্দোলনের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হবে না। যারা সরকারি স্থাপনায় সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সে বিষয়ে মামলা হবে।
আরো পড়ুন: ঢাকাসহ চার জেলায় শুক্র-শনিবার কারফিউ শিথিল থাকবে ৯ ঘণ্টা
এর আগে গত রোববার কোটা সংস্কার নিয়ে আদালতের রায়ের পর আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তা সরকার দেখবে। তিনিসহ কয়েকজন মন্ত্রী বলেছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হামলা, সহিংসতা বা ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি। এ জন্য বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে আসছেন তারা।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি স্থাপনায় জঙ্গি কায়দায় হামলা, ভাঙচুর, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। এসব যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তারা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।