গভীররাতে রাজধানীর একাধিক এলাকায় ‘ব্লক রেইড’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে গভীররাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একাধিক দল।
পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মহাখালী ও বাড্ডার বিভিন্ন এলাকায় ব্লক রেইড পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ডিএমপির একাধিক থানায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে ঢাকায় আজ শুক্র ও আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অর্থাৎ, ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঢাকার পাশাপাশি গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী জেলায় একই নিয়মে শুক্র ও শনিবার সাকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পরিস্থিতি জানানো হবে। সাম্প্রতিক নাশকতায় জড়িতদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিরুণী অভিযান অব্যাহত আছে।
এসব এলাকায় বিকাল ৫টা থেকে আবার সান্ধ্য আইন বলবৎ হবে। দেশের অন্য জেলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল ছিল। এদিন অন্য জেলাগুলোতে কারফিউ চলে স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। কারফিউ শিথিলের সময়ে সারা দেশে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলে ব্যাংকে লেনদেন। আর শেয়ার বাজারে লেনদেন চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
বুধবারও কারফিউ শিথিল ছিল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার ঢাকাসহ ৪ জেলায় বেলা ১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শিথিল ছিল কারফিউ। এই সময়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বের হয় সাধারণ মানুষ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা, হামলা ও ভাঙচুর শুরু হলে গত শুক্রবার রাতে কারফিউ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বুধবার থেকে অফিস খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে কারফিউ শিথিলের সময়।