২৫ জুলাই ২০২৪, ২১:৪৫

দাবি পূরণ হয়েছে, এখনও কীসের আন্দোলন—প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কীসের আন্দোলন- প্রশ্ন রাখেন তিনি। তিনি বলেন, তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে, যা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসীর কষ্ট লাঘবে সরকার যে উন্নয়ন করছে, সেগুলো ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।’

ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ স্টেশন দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে, সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশটা যাতে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টাই করব। এদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে দেশ, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না। যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোন ধরনের মানসিকতা! ঢাকা শহর যানজটে নাকাল, মেট্রো সেখানে স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।’

কোটা আন্দোলনকারীদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল, তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কীসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে, যা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর ওপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল, তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে।’

হামলায় আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণে গত রোববার ডিএমটিসিএল আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়াকে, সদস্যসচিব করা হয়েছে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ইফতেখার হোসেনকে। কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।