সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে, কোটা ৭ শতাংশ
সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে সরকারকে দ্রুত এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা নিয়ে ২০১৮ সালের অবস্থায় ফিরে গেল। এতে করে সরকারি চাকরিতে এখন থেকে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আর কোটায় নিয়োগ হবে ৭ শতাংশ।
কোটা নিয়ে আজ রবিবার (২১ জুলাই) দুপুরে আপিল বিভাগের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী, মেধারভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা ৫ শতাংশ, নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ ১ শতাংশে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে আপিল বিভাগের এ রায় নির্বাহী বিভাগ মানতে বাধ্য নয়। তারা চাইলে কোটার এ হার কমবেশি করতে পারবে।
কোটা নিয়ে যেসব শিক্ষার্থীরা বর্তমানে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে ক্লাসে ফিরে যেতে বলা হয়েছে আপিল বিভাগরে রায়ে। একইসঙ্গে চলমান এ আন্দোলনে প্রাণহানীর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, কোটা নিয়ে ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে হাইকোর্ট বিভাগ যে রায় দিয়েছিলেন সে রায়টি আপিল বিভাগ রহিত ঘোষণা করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষপট বিবেচনায় রায়ে মেধারভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ আর কোটায় নিয়োগ হবে ৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৫ শতাংশ কোটার যে কথা বলেছিলেন, আপিল বিভাগ সেটাকে ৭ শতাংশ করেছেন। আপিল বিভাগ সরকারকে বলেছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত গেজেট রাজি করে জমা দিতে। আর শিক্ষার্থীরা যেন এ রায়ের পর আদালতের প্রতি সম্মান রেখে আন্দোলন থেকে সরে যায়। একইসঙ্গে ক্লাসে ফিরে যায়।
এর আগে, এদিন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া আপিল শুনানিতে কোটা বাতিলের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ৯ সিনিয়র আইনজীবী। বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। যা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন সাত শিক্ষার্থী। এ নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন উচ্চ আদালত। এরপর কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।