আছিস যত রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়: পলক
একাত্তরের হাতিয়ারকে আরও একবার গর্জে উঠার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একইসঙ্গে তিনি রাজাকারদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এমন আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে একটি ছবি যুক্ত করে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। তোরা যারা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়া।’ পোস্টের সঙ্গে যুক্ত করা ছবিতে লেখা রয়েছে ‘আছিস যত রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’।
তিনি যখন এমন পোস্ট করেছেন, ঠিক তখন দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল। এদিন রাত ১১টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সবগুলো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বিষয়ক মন্তব্যের প্রতিবাদে তারা এমন কর্মসূচি শুরু করেছেন। তারা স্লোগানে স্লোগানে বলছেন ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার’।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে পলক লিখেছেন, ‘যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ মার্চ ছাত্র শিক্ষকদেরকে গণহত্যা করেছে রাজাকাররা, সেই রাজাকারের পক্ষে রাজাকারের সন্তান বলে শ্লোগান দিতে লজ্জা করে না?’
ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে একাধিক হামলা ও মারধরের ঘটনার খরব পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদকে মারধর করে ছাত্রলীগ। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে, রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গণভবনে চীন সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন কোটা আন্দোলন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? রাজাকারের নাতিপুতিরা সবকিছু পাবে, আর মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না?