মেধা হোক সবচেয়ে বড় কোটা: আয়মান সাদিক
শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন খুব অল্প দিনেই জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা যেভাবে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সমর্থন আশা করেছিলেন, সেভাবে পাচ্ছিলেন না। অবশ্য শিক্ষার্থীদের এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের পুরোনো।
এতোদিন চুপ থাকলেও এবার আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আয়মান সাদিক। কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন তিনি। আয়মানের একই ছবি পোস্ট করেছেন আরেক তরুণ ভিডিও নির্মাতা ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এনায়েত চৌধুরী।
আয়মান সাদিক ও এনায়েত চৌধুরীর শেয়ার করা ওই ছবিতে লেখা হয়েছে, ‘‘কোটা সংস্কার চাই। মেধা হোক সবচেয়ে বড় কোটা। হ্যাশট্যাগ কোটা মুভমেন্ট।’’
রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আয়মানের পোস্টে ব্যবহারকারীদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি দেখা গেছে। তবে তার উল্টো চিত্র এনায়েতের পোস্টে। দুজনে একই ছবি শেয়ার করলেও এনায়েতের পোস্ট নিয়ে বেশি হাসি-ঠাট্টা করতে দেখা গেছে ব্যবহারকারীদের।
আয়মান অবশ্য ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিজের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা।
আয়মান সাদিক বলেন, কোটা আন্দোলন ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। তখনও আমি প্রোপারলি এ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছি। মেধা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোটা। এটাতে কোনো ডাউট থাকা উচিত না।
‘‘এ বিষয়টি নিয়ে এবারো আমার সাথে অনেকের কথা হয়েছে। অনেকে সাজেশন চেয়েছে। আমি সাজেশনও দিয়েছি। তবে সেন্ট্রালের কারো সাথে আমার সরাসরি বৈঠক হয়নি। তবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীদের সাথে আমার কথা হয়েছে।’’
কোটা আন্দোলনে নিজের সমর্থনের কথা জানিয়ে আয়মান বলেন, ২০১৮ সালেও আমি কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। সে সময়ের কিছু পোস্ট এখন আবার নতুন করে ভাইরাল হচ্ছে। যেসব পোস্টে আমি আন্দোলনের পক্ষে অবস্থানের কথা জানিয়েছি।
কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবি তুলে আয়মান বলেন, কোটার যে সংস্কার দরকার, আমি ২০১৮ সালের আন্দোলনের সময় তুলে ধরেছি। সে সময়ের তুলনা ২০২৪ সালে এসে কোটা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে।