হালাল উপার্জনের উপদেশ দিতেন প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার পিএসসি’র জাহাঙ্গীর
স্থানীয় ব্যক্তিদের হালাল পথে উপার্জনের পরামর্শ দিতে বিসিএসসহ একাধিক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার হওয়া সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। নিয়মিত নামাজ পড়ার পাশাপাশি অন্যদের ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণাও দিতেন বলে জানা গেছে।
জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দিয়া গ্রামে। বাবা ছবির উদ্দিন মন্ডল বেসরকারি চাকরি করতেন। কয়েক বছর আগে জাহাঙ্গীর আলমের বাবা-মা মারা যান। জাহাঙ্গীর আলমরা চার ভাই ও দুই বোন। বাবার ভাগের সম্পত্তি এক বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলমের ডাক নাম ফুয়াদ। স্থানীয়রা তাকে ফুয়াদ নামেই বেশি চেনেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট জাহাঙ্গীর। বড় ভাই ফারুক মন্ডল সরকারি চাকরি করতেন। তিনি মারা গেছেন। অপর ভাই সাইফুল ইসলাম শিবলি সোনালী ব্যাংকে চাকরি করতেন। অবসরের পর তিনি এখন গাইবান্ধা শহরে জায়গা কিনে সেখানেই বাড়ি করে থাকছেন। তার আরেক ভাই মোহাম্মদ পটু মন্ডল মারা গেছেন। জাহাঙ্গীর আলমের দুই বোন মালা এবং মুক্তা স্বামীর বাড়িতে থাকেন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমের এক প্রতিবেশি জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। গ্রামে এলেই তিনি সবাইকে ডাকতেন। হালাল উপার্জনের পাশাপাশি নামাজ পড়তে বলতেন। সেই মানুষটাই যে এত বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িত সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না।’
জাহাঙ্গীর আলমের গ্রামের বাড়িতে কাজ করেন লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, গ্রামের বাড়িতে বাবার কাছ থেকে ভিটেমাটির যা ভাগ পেয়েছিলেন এক বছর আগেই তা দুই কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। শুনেছি ঢাকায় তিনি ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেখানেই ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকেন। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর শুনে আমরা লজ্জায় পড়েছি।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু বলেন, জাহাঙ্গীর আলম ভদ্র প্রকৃতির ছিলেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে কিছুই করেননি। উত্তরাঞ্চলের মানুষ হলেও গ্রামের মানুষের জন্য কিছুই করেননি। একটা চাকরির সুপারিশ পর্যন্ত করেননি। শুনেছি, অন্য এলাকার অনেককে তিনি চাকরি নিয়ে দিয়েছেন।