বিবৃতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে বললেন ওবায়দুল কাদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ PM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ PM
কোটা সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের আবারও ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ভর করেছে। শিক্ষার্থীরা কার বিপক্ষে আন্দোলন করবেন? সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ তো তাদের পক্ষেই আছে। এরপরও আন্দোলন চলমান থাকা প্রমাণ করে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কোনো গোষ্ঠী বা মহল এই আন্দোলনকে উস্কানি দিচ্ছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারও রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের শিকার না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে, এ ধরনের সব কর্মসূচি পরিহার করে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ পুনরায় জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই আদেশের পর হাইকোর্টের রায়ের কোনো কার্যকারিতা বর্তমানে নেই। এরপরও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকার যৌক্তিকতা নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো আন্দোলন হলেই বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা সেটাকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় যাওয়ার দুঃস্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ে।
‘‘এখন তারা কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ তাদের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনেই তারা সফল হতে পারেনি। তাই যখনই অরাজনৈতিক আন্দোলন সংগঠিত হয়, সেটাকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করে বিএনপি।’’
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সর্বদা আন্তরিক। কোনো যৌক্তিক দাবিই কখনোই আওয়ামী লীগের কাছে উপেক্ষিত হয়নি।
এর আগে, গত ১০ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আদালত কোটা সংস্কার নিয়ে চার সপ্তাহের স্থাগিতাদেশ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্লাসে ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।