কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা খোলা: প্রধান বিচারপতি
কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, আন্দোলনকারীদের পরামর্শ দিন, তারা কেন নির্বাহী বিভাগের কথা বলে? নির্বাহী বিভাগের কোনও সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আপিল বিভাগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) একটি মামলার শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের এসব কথা বলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন- আন্দোলনকারীরা দাবি আইনজীবীদের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। সেটা গুরুত্ব সহকারে শুনবেন তারা।
এর আগে বুধবার সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারের বিষয়ে আদালত নয়, নির্বাহী বিভাগের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত চান তারা।
আরো পড়ুন: সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটায় কার কত হার
গত ৪ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। সেদিন রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি করেননি। পরে ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করেছিল সরকার।