রেললাইনে একত্রে ছিন্নভিন্ন ছয় লাশ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য
নরসিংদীর রায়পুরায় পৃথকভাবে ট্রেনে কাটা পড়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী মেইল ট্রেনে কাটা পরে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কাললী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে আরো ১ জনসহ মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়। সবগুলো মরদেহ কাছাকাছি হওয়ায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে জনমনে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দার রেলগেইট এলাকায় দুই কিলোমিটার অদূরে পলাশতলী ইউনিয়নের খাকচর কমলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেল পুলিশ, পিবিআই পুলিশ, সিআইডি পুলিশ, রায়পুরা ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল এসে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করে।
এদিকে নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকিদের পরিচয় মেলেনি। লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সর্বশেষ স্টেশনে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি ট্রেনের ছাদে কয়েকজন যাত্রী ছিল। সেই যাত্রীরাই কি মারা গেছেন কি না সেটি নিশ্চিত হতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
নরসিংদীর রায়পুরা একটি টেঁটাযুদ্ধ প্রবণ এলাকা। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো পক্ষ নিহতদের হত্যার পর লাশ রেল লাইনে ফেলে গেছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শরীরগুলো একত্র করেছি। এরপরই পরিচয় শনাক্তের জন্য নরসিংদীর পিবিআই সদস্যদের খবর জানিয়েছি। বেলা সাড়ে ১১টায় তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু করে।