০৭ জুলাই ২০২৪, ১৩:১৮

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার: কাদের

ওবায়দুল কাদের  © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। 

রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পেনশন স্কিম ও কোটা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থবিরতা বিষয়ে কী ভাবছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে, আমি বিশ্বাস করি। তারা যেই ইস্যুতে আন্দোলন করছে সেটা তো সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল, আদালত ভিন্ন রায় দিয়েছেন। 

কাদের আরও বলেন, আদালতের ব্যাপারটা যখন চলমান এটা আপিল বিভাগে আছে। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তো আমার কথা বলা উচিত নয়। তারপরও আমরা আমাদের দেশের ব্যাপার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপার, আমরা দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

তাদের সঙ্গে দ্রুত বসবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে সেটা আমি এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে সময়মতো সমাধান হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু অনেক পরে ধরা পড়ে।

কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি চাই না। ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, তেমনি খারাপ কাজের জন্যও নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্পদের হিসাব দিতে পারে, এটা দেয়া উচিত। এখানে আপত্তি কোথায়? আমি যদি সৎভাবে কাজ করি দিতে আপত্তি কি?’

আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘কমিশন, পার্সেন্টেজ একসময় এখানে নিয়ম হিসেবে চালু ছিল। এসব পদোন্নতি ও ট্রান্সফার নিয়ে অনেক কথা ছিল। সময় হওয়ার আগে একজন প্রকৌশলী নিজের পছন্দমতো জায়গায় বদলি হয়ে যেতেন। এসব চর্চা বন্ধ করা হয়েছে। 
 
‘প্রধান প্রকৌশলী থেকে শুরু করে প্রকৌশলী পদে আসার জন্য এবং এখানে পদায়ন ও পদোন্নতির জন্য যে লেনদেন হতো, সেটা আমি মন্ত্রী হয়ে অনেক কথা শুনে, অনেক গল্প শুনে খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। এটা কেন হবে? আমি আমাদের বিশেষ করে বিআরটিএ এবং সড়ক ও মহাসড়ক -- সবাইকে একটা কথা বলে দিয়েছি, কোনো রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না।’