টানা বৃষ্টিতে সাজেকে আটকা শতাধিক পর্যটক
রাঙামাটির সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে প্রায় আট শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের দুটি স্থান উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের কারণে কাচাংল নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সাজেকের মাচালং বাজার, বাঘাইহাট এবং খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সাজেকে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। ছোট-বড় মিলে ১২৫ গাড়ির পর্যটক আটকা পড়েন সাজেকে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাহাড়ি ঢলে কাচাংল নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সাজেকের আশাপাশ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। যে কারণে সাজেক থেকে পর্যটকবাহী যানগুলো ছেড়ে যেতে পারেনি।
বাঘাইহাট সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে পর্যটক আটকা পড়েছে এবং পানি না সরা পর্যন্ত কেউ বের হতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন ইউএনও।
এদিকে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে পাহাড়ি ধস ও তলিয়ে যাওয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও ভারী যানচলাচল বন্ধ আছে। শুধু স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল করছে। ভারী বৃষ্টিতে গতকাল রাতে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের বোধিপুর এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। আজ ভোরে কিছু অটোরিকশা রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে এটা দেখতে পায়।
পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দিলে তারা সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়া মাটি সরিয়ে ফেলা হয়। এর পর থেকে অটোরিকশা চলাচল করলেও বাস ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে না।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় পাহাড় ধসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরের দিকে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচের যাত্রীরা আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।