নয়াপল্টনে বিএনপি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ, সতর্ক পুলিশ
রাজধানীতে একই দিনে (২৯ জুন) সমাবেশ ও আলোচনা সভা করছে দেশের বৃহত্তম দুই রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে প্রায় আট মাস পর নয়াপল্টনে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বড় সমাবেশ করছে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এই পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও আলোচনা সভা কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিকাল তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অংশ নিয়েছে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার আগেই নয়াপল্টন নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ সময় কার্যালয়ের সামনের দুই পাশের সড়ক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলেও যান চলাচলের পথ রেখেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের এ অবস্থান কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। নাইটেঙ্গেল মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান। পুলিশ বলছে, বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কেউ সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রয়েছে। সমাবেশ স্থলে আগতদের সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সিনিয়র নেতা ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা এতে বক্তব্য দিচ্ছেন। এর আগে সকালে বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছয়টি পিকআপের ওপর অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়। টাঙানো হয় ব্যানার।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ডিএমপি কমিশনার দুই দলের সমাবেশ ঘিরে কিছু শর্ত দিয়েছে। আশা করছি দুই দলই শর্ত মেনে সমাবেশ পরিচালনা করবে। দুই দলের সমাবেশ কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।