ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সুমন মিয়া (২৭) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আশেক আলী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমএ আজিজ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগকারী আশেক আলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের গাণ্ডার পাড়ার বাদশা মিয়া ছেলে। পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দানকারী সুমন মিয়া একই উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাত ১১ টার দিকে আশেক আলীর বাড়িতে ২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি আসেন। এসময় আশেক আলীর পিতা বাদশা মিয়া তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পরিচয় না দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তারা একটি মুঠোফোন আশেক আলীর বাড়িতে রেখে যায়।
ঘটনার দুইদিন পর গত শনিবার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয়ে আশেক আলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করেন সুমন মিয়া। এসময় তাকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ফেলে আসা মোবাইল ফোনটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে ডাকেন সুমন মিয়া। এমনকি দ্রুত সময়ে দাবিকৃত টাকা ও মোবাইল ফোন না দিলে গ্রেফতার করার হুমকি দেওয়া হয়।
আশেক আলী নিরুপায় হয়ে নগদ ২০ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোনটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যায়। এসময় আশেক আলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপালনরত উপপরিদর্শক (এসআই) জুলিহাসকে পুরো ঘটনাটি অবগত করেন। সেইসাথে অভিযুক্ত সুমনের মোবাইল নম্বরটি তাকে দেন। তিনি তাৎক্ষণিক তদন্ত করে জানতে পারেন সুমন নামের কোনো পুলিশ সদস্য পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত নেই। পরে আশেক আলী ভুয়া পুলিশ পরিচয় দানকারী সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমএ আজিজ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।