২৪ জুন ২০২৪, ১৬:৪১

চেতনানাশক প্রয়োগের ১০ মিনিট পর ‘হার্ট অ্যাটাকে’ স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

  © সংগৃহীত

কুমিল্লায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন করার সময় ১৫ বছর বয়সী মীম আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপনে গেছেন চিকিৎসক ও পাশাপাশি থাকা দুটি হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

গতকাল রবিবার রাতে নগরীর ঝাউতলা এলাকায় হেলথ অ্যান্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মীম জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া কৃষ্ণপুর এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। সে পাশের কংশনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।

ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে চেতনানাশক দেওয়ার ‘ভুলে’ মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। যে ডাক্তার মীম আক্তার নামে মেয়েটির চিকিৎসা করেছিলেন, তিনি পাশের ফেইথ মেডিকেল সার্ভিসেসে রোগী দেখেন এবং হেলথ অ্যান্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করতেন।

স্বজনরা জানান, কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে গলায় টনসিলের ব্যথা নিয়ে মীম তার মায়ের সঙ্গে ফেইথ মেডিকেল সার্ভিসেস নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ মো. জহিরুল হকের কাছে যায়। চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের কথা বলেন। গতকাল সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটায় অস্ত্রোপচারের জন্য মীমকে হেলথ্ অ্যান্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসক জহিরুল।

অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের পরপরই মীমের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ১০ মিনিট পর জহিরুল বের হয়ে স্বজনদের বলেন মীমের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিতে হবে। এই হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় মীম।

মীমের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে মারা যাওয়ার পর জহির ডাক্তার আমারে অপারেশনের টাকা ফেরত দিতে চান। আমাকে বলছে আমরা যত টাকা চাই উনি আমাদের টাকা দেবেন। টাকা দিয়ে আমার মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাচ্ছেন। আমরা রাজি না হওয়ায় জহির ডাক্তার আমার মেয়ের পরীক্ষার রিপোর্টসহ যাবতীয় কাগজ নিয়ে হাসপাতাল তালা মেরে পালিয়ে গেছেন।

এ ঘটনা পর ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। তারা পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে মেয়েটির মৃত্যুর পর ঘটনার কিছু সময় পরই ফেইথ মেডিকেল এবং হেলথ্ অ্যান্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতাল-দুটি প্রতিষ্ঠানেই তালা ঝুলিয়ে কর্মকর্তারা চলে যান। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও জানা যায়নি।