‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে’: রাজশাহীর ৮১ বিশিষ্ট পেশাজীবী

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে অবিলম্বে বিদেশ পাঠানোর দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাজশাহীর ৮১ জন বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অন্যথায় 'খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে' বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

রোবাবর (২৩ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতি দেন তারা। 

বিবৃতিতে পেশাজীবীগণ বলেন, মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ আওয়ামী সরকারের হয়রানির শিকার হয়ে বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্দি জীবনযাপন করার ফলে তিনি নানাবিধ স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছেন যা বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে ইতোমধ্যে তাঁর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ৭৮ বছর বয়সি বেগম জিয়ার মেডিকেল টিম জানিয়েছে, তাঁর বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যে ধরনের চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন তা দেশে সম্ভব নয়। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছেন যে, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। 

তারা আরও বলেন, দেশে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো কিছু বাকি নেই। কেন না, তাঁর চিকিৎসার জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার, সেসব দেশে নেই। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে ‘অ্যাডভান্সড সেন্টার’ এ নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া জরুরি। কিন্তু সরকার এতে কোনোরূপ কর্ণপাত করছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবি জানাচ্ছি।

সরকারকে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পরিহার করে গণতান্ত্রিক পথে চলার পরামর্শ দিয়ে পেশাজীবীদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অন্যথায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী পেশাজীবীগণের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাসেম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এম. রফিকুল ইসলাম, শত নাগরিক রাজশাহীর সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, রাবি সাদা দলের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এবং রাবি জিয়া পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক, ড্যাব'র রাজশাহী সভাপতি ডা. ওয়াসিম হোসেন, রাজশাহীর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাড. মাইনুল আহসান পান্না, রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আমীরুল ইসলাম, রুয়েট জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক। 

রাবি শিক্ষক ও শত নাগরিক রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্দুল আউয়াল, রাবি বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোর্ত্তুজা, রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. জমসেদ আলী, সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজু, সাংবাদিক মো. আব্দুস সবুর, রাবি বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাহেদ জামান, রাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ, রাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট পারভেজ টি জাহেদী, উপাধ্যক্ষ মো. মকবুল হোসেন। 

রাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. দিল আরা হোসেন, ডা. মো. মোফাখখারুল ইসলাম, রাবি ভেটিরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে এম মোজাফফর হোসেইন, রাবি ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাড. মো. নূর-এ-কামরুজ্জামান ইরান, অ্যাড. নূসরাত মেহেজেবীন সুমি, প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ড. মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম স্বপন, দৈনিক নতুন প্রভাতের সম্পাদক সোহেল মাহবুব, অ্যাড. মো. শাহজাহান আলী ফাহিম, ডা. মো. শামীম হোসেন চৌধুরী, রুয়েট অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার, সাংবাদিক নেতা মহিব্বুল আরেফিন ও মো. মঈন উদ্দীন, রাবি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল ইসলাম ও সাংবাদিক মো. ওমর ফারুক প্রমূখ।

 

সর্বশেষ সংবাদ