নয়াদিল্লিতে লালগালিচা অভ্যর্থনা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷ শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল সোয়া ৪টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় লালগালিচা অভ্যর্থনার পাশাপাশি ছিল শিল্পীদের সাংস্কৃতি পরিবেশনা।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। দেশটিতে নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর। সফরের শুরুতে আজ সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) দুই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী ৫ বছরের রূপরেখা। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সফরে চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও, এ বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারে ভারত। আসতে পারে বড় ধরনের বিনিয়োগের খবরও।
তবে সরকারি পর্যায়ে ঠিক কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে তা এখনও পরিষ্কার করেননি সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা। যদিও দুই রাষ্ট্র প্রধানের এবারের বৈঠক আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরত্ব পাচ্ছে। হাসিনা-মোদির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা স্থিতিশীলতার কৌশল বের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট শতভাগ কার্যকরের সিদ্ধান্তও আসতে পারে। সংশ্লিষ্টদের আশা, প্রতিবেশী দুই দেশ ভবিষ্যতে নিজেদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে হাতে নেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ। এতে সমানভাবে লাভবান হবে দুদেশের মানুষ।
সফরের শেষ দিন (শনিবার) বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন। রাত ৯টায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।