পুকুরে মিলল মাদ্রাসাছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ, উপড়ানো ছিল নখ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হাতের নখ উপড়ানো অবস্থায় এক মাদ্রাসাছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার পুকুর থেকে ওই ছাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই একজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত ছাত্রের নাম আব্দুল মান্নান মেহেরাজ (১৪)। তিনি। দারুল আরকাম ইসলামিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র। এই মাদ্রাসার পুকুর থেকেই মান্নানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মেহেরাজ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মির্জানগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
আটক ব্যক্তির নাম আহসান হাবিব। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসেন শুনানি শেষে আহসান হাবিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিহতের বড় ভাই সুজন জানান, ৬ জুন তাঁর ভাইকে মাদ্রাসার শিক্ষক আহসান হাবিব ও মোহাম্মদ ইয়াছিন মারধর করেন। খবর পেয়ে পরদিন সকালে মা নুরজাহান বেগম মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ মহিন উদ্দিনের কাছে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। এ সময় আহসান হাবিব হুমকি দেন মেহেরাজের মাকে। এর পর তিনি ছেলেকে মাদ্রাসার হোস্টেলে রেখে চলে আসেন। বুধবার বিকেলে অজু করতে গিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পুকুরের ঘাটলার নিচে বস্তা দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করলে শিক্ষার্থীরা লাশটি মেহেরাজের শনাক্ত বলে করে।
শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সোমবার থেকেই নাকি মেহেরাজ নিখোঁজ। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছুই জানায়নি। এখন তারা বলছে, ‘গোসলের উদ্দেশে বেরিয়ে নিখোঁজ ছিল মেহেরাজ। পানিতে ডুবে মারা গেছে।’ কিন্তু মেহেরাজ সাঁতার জানে। তাছাড়া কেউ কি বস্তাবন্দি হয়ে গোসল করে? আমার ভাইকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা করেছে তারা। মেহেরাজের ডান হাতের তিনটি আঙুলের নখ উপড়ানো ছিল।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আপাতত একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।