১৩ জুন ২০২৪, ১৬:০৫

আরাফার দিনের বিশেষ ৩টি আমল

আরাফার ময়দান  © সংগৃহীত

একজন মুমিনের কাছে বছরের যে কোনো দিনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ দিন হল আরাফার দিন। আল্লাহ তায়ালা ওইদিন যত বেশি মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন বছরের অন্য কোনো দিনে এত বেশি মানুষকে মুক্তি দান করেন না।

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হল আরাফার দিন। এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিনে হাজিগণ মিনা থেকে আরাফার ময়দানে সমবেত হন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এটিই হজের প্রধান রুকন।

হাদিস শরিফে রাসুল (স.) বলেছেন, সারা বছরজুড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে মানুষ যত দোয়া করে না কেন তার থেকে সবচেয়ে উত্তম দোয়া হলো আরাফার দিনের দোয়া। এ দিনে যে হাজিগণ আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন তারা ছাড়াও যারা হজ করছেন না তাদের জন্য রাসুল (স.) কতগুলো আমলের কথা বলেছে।

আরাফার দিনের (৯ জিলহজের) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’-আল-হাদিস

১. আরাফার দিনে যারা হজ করছেন না তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হল ওইদিন নফল রোজা রাখা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের (৯ জিলহজের) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)

২. আরাফার দিনে রাসুল (সা.) একটি দোয়া বেশি বেশি করে পাঠ করতে বিশেষ ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুল (স.) হাদিসে ইরশাদ করেন, আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যত দোয়া পড়েছেন তার থেকে সবচেয়ে উত্তম দোয়া হচ্ছে এটি—‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদীর।’ (অর্থ) আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁর  জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮৫)

৩. বেশি বেশি দোয়া ও এস্তেগফার পড়া। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছে আরাফার দিনের দোয়া। এ দিনে দোয়া ও তওবা কবুলের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

আরাফার দিন বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আরাফাতের দিনের তুলনায় উত্তম কোনো দিন নেই।’ (মাজমাউল জাওয়াইদ, হাদিস : ৩/২৫৬)