১৩ জুন ২০২৪, ১৩:৩৫

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী ফেরি

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী ফেরি  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মসৃণ করতে যাত্রীবাহী ফেরি সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। চালু হলে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও ভ্রমণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। শীঘ্রই দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে ফেরি চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে দুই দেশের মধ্যে ফেরি চালু করতে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।

দ্য ডেইলি মিরর জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানের ফাঁকে দুই দেশের রাষ্ট্রনায়ক সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাদের দুজনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে জানান, বাংলাদেশের পদ্ধতিগুলো বুঝতে আমি দেশটিতে শ্রীলঙ্কার কৃষি বিশেষজ্ঞদের পাঠাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি ও একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছি।

পোস্টে তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে নির্বাচনের কারণে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি এ সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আমি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ সফরের আশ্বাস দিয়েছি।

এর আগে গত রোববার (০৯ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের অতিথিদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দেন।

অনেক আগে থেকেই ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ফেরি চলাচল ছিল। এ রুটে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দ্য ইন্দো-সিলন এক্সপ্রেস ফেরি যাত্রী পারাপার করত। পরে তা শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় চার দশক পর আবার তা চালু হয়। গত বছর অক্টোবর থেকে তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনাম ও শ্রীলঙ্কার কানকেসান্তুরাইয়ে এ ফেরি চলাচল শুরু করে।