আজকে অনেকক্ষণ খাঁচার মধ্যে ছিলাম, এটা অপমানজনক: ড. ইউনূস
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আজকে আমরা অনেকক্ষণ খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে ছিলাম। সারাক্ষণ লোহার খাঁচার মধ্যে থেকেছি। আগেও প্রশ্ন তুলেছি, এটা ন্যায্য হলো কি না? যতদূর জানি, আসামি অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছে তত দিন নিরপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবেন।’
আজ বুধবার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। পরে আদালতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হয়রানির মধ্যে আছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মানি লন্ডারিং, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা- শব্দের সঙ্গে পরিচিত নই। অথচ এসব আমার ওপর আরোপ করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘সারা জীবন মানুষের সেবায় কাটিয়েছি। নিজেদের অর্থ ব্যয় করেছি, এটাই আমাদের ইতিহাস। কিন্তু আমাদের বোধে আসছে না, কেন হয়রানি করা হচ্ছে? আমি রক্তচোষা, সুদখোর, দেশের শত্রু, পদ্মা সেতুর অর্থ আটকে দিয়েছি, ষড়যন্ত্র করে বেড়াই—এভাবেই বলা হচ্ছে। এগুলোই হয়রানি। আমাকে জোর করে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বের করে দিয়েছে।’
আরো পড়ুন: এক ঘণ্টার ব্যবধানে গাবতলীতে প্রাণ হারালেন ৩ জন
তিনি আরো বলেন, ‘একজন নিরপরাধ নাগরিককে লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়িয়ে থাকতে হবে শুনানির সময়, এটা অত্যন্ত অপমানজনক। গর্হিত কাজ। এটা কারও ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য না। সভ্য দেশে কেন একজন নাগরিককে পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, যেখানে দোষী সাব্যস্ত হননি।’
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই তারিখ ঠিক করেছেন আদালত। এ অভিযোগ গঠনের সময় সবাই নিজেদের নিরপরাধ দাবি করেছেন। তারা ন্যায়বিচার চান বলে জানিয়েছে।