কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দেশবাসীকে দুর্নীতিতে উৎসাহিত করা হয়েছে: টিআইবি
ট্রানপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দেশবাসীকে দুর্নীতিতে উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সারা বছর অবারিতভাবে দুর্নীতি কর, আর বছর শেষে ১৫ শতাংশ রাজস্ব দিয়ে পরিস্কার হয়ে যাও। এ নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো সংস্থাই প্রশ্নও করতে পারবে না। আইনটি পাস হলে প্রাক্তন পুলিশ প্রধান এবং র্যাব প্রধানসহ যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভযোগে তদন্ত করা হচ্ছে; তারাও যদি তদন্তের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাহলে জবাব দেওয়ার সুযোগ নেই।’
বাজেটে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রাপ্তিবিষয়ক এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সোমবার (১০ জুন) তিনি এসব কথা বলেন। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং নাগরিক প্ল্যাটফর্ম রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার ইনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
টিআইবি প্রধান জানান, ‘১৯৭৫ সাল থেকে প্রায় প্রতি বাজেটে কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত কালো টাকা সাদা করার সুযোগে দেওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব বাবদ মাত্র ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু টাকা হয়তো সরকার পেয়েছে। তবে এর মাধ্যমে মূল নৈতিকতা উৎখাত হয়েছে।’