শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় সিগারেটের দোকান বন্ধের দাবি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম আধা কিলোমিটারের মধ্যে সিগারেটের দোকান না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) নির্বাহী পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরি। একইসঙ্গে তিনি তামাক কারখানায় শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হলে শাস্তির বিধান দ্বিগুণ করার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘তামাক কারখানায় পরিবেশ আইনের প্রায়োগিক সীমাবদ্ধতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব দাবি তোলেন তিনি।
ডা. লেলিন চৌধুরি বলেন, ফসলি জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে হবে এবং তা প্রয়োগ করতে হবে। তবে এই আইন যারা প্রয়োগ করবেন তাদেরই অনেক সময় ধূমপান করতে দেখা যায়। ২০৪০-এর মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত দেশ গর্ব তার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
এ সময় তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণের একটি সংশোধিত রোড ম্যাপ তৈরি এবং নিরপেক্ষ সেল গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, তামাক কারখানাগুলোকে লাল তালিকা ভুক্ত করতে হবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, তামাক বিরোধী নারী জোট ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে আয়োজিত আলোচনা সভার সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার।
সভায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ রাসেলের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পবার সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ, ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটির বাংলাদেশের সমন্বয়ক জীবন কুমার সরকার ও সূচনা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।