প্রচারণা করেছেন কাঠি আইসক্রিমের, ব্যালটে পেলেন কুলফি
তৃতীয় ধাপে বগুড়ায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন একজন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তার অভিযোগ, ভোটাররা কেন্দ্রে যাওয়ার পর তাকে ভোট দিতে গিয়ে প্রতীক খুঁজে পাচ্ছেন না।
বগুড়া সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইফতারুল ইসলাম মামুন নিজেও কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে দেখেন, তার বরাদ্দকৃত কাঠি আইসক্রিমের জায়গায় ব্যালটে প্রতীক দেওয়া হয়েছে কোন বা কুলফি আইসক্রিমের। তিনি প্রতীক বরাদ্দের পর কাঠি আইসক্রিমেরই প্রচার-প্রচারণা করেছেন।
পরে মামুন শহরে এসে সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গেও। কিন্তু কোনো সমাধান পাননি। উপজেলা যুবলীগ নেতা মামুন বলেন, আমার ভোটাররা আমার নির্ধারিত প্রতীক না পেয়ে ভোট না দিয়েই ফিরে এসেছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে খবর নিতে ভোটকেন্দ্রে গিয়েও এর সত্যতা পাওয়া যায়। বগুড়ার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আবু সাঈদ বলেন, এখানে ১৬ জন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিযোগিতা করছেন।
তিনি বলেন, কমিশন থেকে আমাদেরকে অতিরিক্ত তিনটি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শুধু আইসক্রিমের নাম ছিল। কিন্তু নমুনা ছবি ছিল না। পরে আমরা সচরাচর যে আইসক্রিম হয়, সেই ছবি দিয়ে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেই। আজ ব্যালটে দেখি কুলফি আইসক্রিমের ছবি রয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার বলেন, আম প্রার্থীকে বলেছি, তিনি যেন ফেসবুক লাইভ করে তার ভোটারদেরকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। এখনও সারাদিন বাকি আছে ভোটের।
তবে প্রার্থী মামুন বলেন, আমাকে কেউ কোনো সমাধান দিতে পারছেন না। আমার বিজয়ের একটা সম্ভাবনা ছিল। এখন সাতমাথায় বসে প্রতিবাদ করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।
এদিকে, বগুড়ায় নমুনা প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারের প্রতীকের মিল না থাকায় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের (পুরুষ) ভোট স্থগিত করা হয়েছে। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ব্যালট পেপারে প্রতীকের মিল না থাকায় সদর উপজেলার পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে এখনো লিখিত চিঠি আসেনি।