দেড় কোটি পরিবারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, সাড়ে ৮ হাজার মোবাইল টাওয়ারে নেটওয়ার্ক নেই

ঘূর্ণিঝড় রেমাল

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতি  © সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দেড় কোটি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব গ্রাহকের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

অন্যদিকে, দেশের ৪৫টি জেলায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মোবাইল টাওয়ারে নেটওয়ার্ক নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সোমবার (২৭ মে) এ তথ্য জানিয়েছে সরকারি এই সংস্থাটি।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার (২৭ মে) রাত ৮টার দিকে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।

এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের লাইন চালু থাকলে জানমালের ক্ষতি হতে পারে। তাই ঝড়ের তাণ্ডব কমে যাওয়ার পর দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বর্তমানে দেশের অনেক এলাকা ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা যাবত বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব কমে যাওয়ার পর দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিতে আমাদের কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার প্রকৃত চিত্র এখনো জানা যায়নি।

এদিকে, দেশের ৪৫টি জেলায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ৪১০টি মোবাইল টাওয়ারে নেটওয়ার্ক নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এসব নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।


সর্বশেষ সংবাদ