ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতার পরেও ৬০ জন যাত্রী নিয়ে মোংলায় নৌকাডুবি

মোংলায় নৌকাডুবি
মোংলায় নৌকাডুবি  © সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে বাগেরহাটের মোংলায় যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

রোববার (২৬ মে) সকালে মোংলা নদীর ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকা ডুবে যায়। কিছু যাত্রী সাঁতরে পারে উঠলেও কেউ কেউ নিঁখোজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

জানা গেছে, এ ঘটনায় একজন শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১২ জন। আর ভর্তি রয়েছে তিনজন। তারা সবাই মোংলার ইপিজেড এলাকায় চাকরি করেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ইপিজেড ছুটি দেয়ার পর সবাই বাসায় ফিরছিল। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে দুইটি টলারের দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রলার চালকরা ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতার মধ্যেই অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নদী পার করছিল। দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ছুটে আসেন ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের স্বজনরা। তারা এ সময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল আদায়ের কাউন্টার ভাঙচুর চালান। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এটিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল বলে শুনেছি। দুর্ঘটনার পর থেকেই খোঁজখবর রাখছি। যাত্রী নিখোঁজ আছে কিনা, সে বিষয়ে পৌরসভার সিসি ক্যামেরায় দেখা হচ্ছে এবং নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে। 

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা ১৫ জেলায়

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষর করা ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

 

সর্বশেষ সংবাদ