আদালতে শিলাস্তি রহমান: আমি কি আসামি নাকি? এসব বিষয়ে কিছু জানি না
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামীর একজন শিলাস্তি রহমান। গ্রেপ্তার তিন আসামির ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত এ আদেশ দেন।
এদিকে রিমান্ড শুনানির আগে আদালতের এজলাসে আসামিদের রাখার ডকে উঠেই শিলাস্তি রহমান কান্না শুরু করে দেন। শুনানির একপর্যায়ে একজন আইনজীবী ওকালতনামায় শিলাস্তি রহমানের স্বাক্ষর নিতে যান। এ সময় সেই আইনজীবীকে শিলাস্তি বলেন, 'আমি কেন স্বাক্ষর করব? আমি কি আসামি নাকি? এসব বিষয়ে কিছু জানি না।'
রিমান্ড শুনানিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুল ইসলাম আদালতের কাছে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করা হয়। তবে আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপিকে হত্যার জন্য কলকাতার নিউ টাউনে অভিজাত ‘সঞ্জিভা গার্ডেনে’র যে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছে, সেখানে অবস্থান করেছিলেন ওই তরুণী। শিলাস্তি রহমান এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সঞ্জীবনী গার্ডেনের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছে কলকাতা পুলিশ। এতে দেখা যাচ্ছে ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে তিনজন একসঙ্গে ঢোকেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। একদিন সেখানে অবস্থানের পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীই শিলাস্তি। ১৩ মে তিনি আমানুল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন।
এমপি আনারকে কলকাতা নিতে এই তরুণীকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।