২২ মে ২০২৪, ১০:৫১

মারধরের পর চিকিৎসককে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

সিরাজগঞ্জ  © ফাইল ফটো

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে মারধরের পর পুড়িয়ে এক চিকিৎসককে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে ওই চিকিৎসকের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। সোমবার রাত ৩টার দিকে চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম ডা. মনিরুজ্জামান মনি। 

তিনি উপজেলার সরকারি চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। তিনি উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের চরদরতা গ্রামের প্রয়াত আযম শেখের ছেলে। ঘটনার পর আহত চিকিৎসক বর্তমানে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসককে কাজীপুরে রেখেই আপাতত চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি পেশাগত নয়, বরং পারিবারিক বলে আমরা জেনেছি।

পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতর ঢুকে ডা. মনিকে বেধড়ক মারধর করে দুর্বৃত্তরা। তিনি জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যাওয়ার পর পুড়িয়ে মারতে কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে জ্ঞান ফিরে তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। দুর্বৃত্তদের আগুনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির আসবাব ও ওষুধ পুড়ে গেছে। পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিক তদন্তে তারা পারিবারিক কলহ ও পৈতৃক সম্পদ নিয়ে মনির সহোদর পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

কাজীপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই চিকিৎসকের স্ত্রী সম্প্রতি তাঁর বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের একমাত্র ছেলেটিও থাকে ভাইদের কাছে। প্রাথমিকভাবে বড় ভাই চরদরতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন বাবলুকে সন্দেহ করছেন ভুক্তভোগী। তবে গতকাল বিকেল পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো মামলা হয়নি।

এ ঘটনায় সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, জমি নিয়ে ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি মনির দাম্পত্য জীবনেও ঝামেলা চলছে। এর জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে সহকর্মীরা জানিয়েছেন। তবে মনির ভাই রুহুল আমিন বাবলু মনে করেন, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও হত্যার পরিকল্পনা অন্য কারও হতে পারে।