স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি

২১ বছরের যুবকের বাড়িতে দ্বিগুণ বয়সি নারীর অনশন

স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে ২১ বছরের এক তরুণের বাড়িতে এসে অনশনে বসেছেন ৪২ বছরের এক নারী। এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়। এরপর প্রেম। দেখা করতে গিয়ে বিয়েও করেন তারা। কিন্তু কিছুদিন পরেই বিয়ে করা স্ত্রীকে অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় নাদিম। পরে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে ছেলের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই নারী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) শরীয়তপুর সদর পৌরসভার হুগলি গ্রামের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, ২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুড়িগ্রামের কবিরাজপাড়া এলাকার এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লাল সরদারের ছেলে নাদিম ওরফে জহিরের। পরে তারা চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় দেখা করতে গিয়ে দুই লাখ টাকা কাবিনে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন তারা ঢাকার আবাসিক হোটেলে একান্তে সময় কাটান।

এরপর ওই নারী দেশের বাড়ি কুড়িগ্রাম চলে গেলে ধীরে ধীরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন নাদিম। তাই গেল ঈদুল ফিতরের পরে নাদিমের বাড়িতে আসলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আবার মোবাইলে কল দিলে রিসিভও করে না। সে সম্পর্ক অস্বীকার করছে। একপর্যায়ে ওই নারী স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নাদিমের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, নাদিম সবকিছু জেনেশুনে আমাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর ওর যখন যা কিছুই দরকার পড়েছে আমি তাকে দিয়েছি। এমনকি আমার গহনা বিক্রি করেও টাকা দিয়েছি। এখন সে পারিবারিক চাপের কারণে আমাকে অস্বীকার করছে। আমি আমার অধিকার নিয়েই এ বাড়িতে এসেছি।

জানতে চাইলে নাদিম ওরফে জহির বলেন, উনি আমাকে আগে ফেসবুকে এসএমএস করেছে। আমি জানতাম না তার এত বয়স। যখন জানতে পারি তখন পারিবারিকভাবে আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি তার সঙ্গে কোনো সংসার করিনি। এখন নতুন করে আর কিছুই নেই।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। তবে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ