১৬ মে ২০২৪, ২২:২৫

পাঠ্যবই থেকে শরীফ-শরীফা গল্প বাদ দেওয়ার সুপারিশ

শরীফ-শরীফা গল্প  © ফাইল ফটো

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে আলোচিত শরীফ-শরীফা গল্প বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। গল্পে ব্যবহৃত অন্তত ১৯টি শব্দ সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে মত তাদের। চলতি মাসের শুরুতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শরীফ-শরীফা গল্পে ১৯টি শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তির কথা বলেছেন। এসব শব্দগুলো বাদ দিলে ওই গল্পটি আর পরিপূর্ণ থাকছে না। সেজন্য পুরো গল্পটিই বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তবে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে সচেতনতামূলক কোনো গল্প নতুন করে লিখে সেটা বইয়ে যুক্ত করা যায় কিনা, সে বিষয়ে মত দিয়েছেন তারা।

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনা চলছে চলতি বছর থেকে। তবে, বছরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয় সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান বইয়ের শরীফ শরীফার গল্পটি নিয়ে, যার বিচার-বিশ্লেষণের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বৃহস্পতিবার রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি এ সংক্রান্ত একটি বিস্তর প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ নামে অধ্যায় রয়েছে। এ অধ্যায়ে বইয়ের ৩৯ নম্বর পৃষ্ঠায় শরীফার গল্প শুরু হয়েছে। গল্পটি মোট ৩৭৪ শব্দের। গল্পে বর্ণনায় একপর্যায়ে শরীফ থেকে শরীফা হওয়া ব্যক্তির কাল্পনিক বিবরণ উঠে আসে।

বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ নিয়ে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, এ সংক্রান্ত একটা প্রতিবেদন আমরা জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে তা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।

এদিকে, নতুন শিক্ষাক্রমের চলতি বছরের মাধ্যমিকের চারটি শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, রিপোর্টটা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে ১৪৭টি ভুল চিহ্নিত করেছে এনসিটিবি। এসব ভুলের বিষয়ে স্কুলগুলোকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে।