অবশেষে ঘর পাচ্ছে পুরস্কার পাওয়া শিশু ফারজিনার পরিবার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৫৩ PM , আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৫৮ PM
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এ শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পায় ফারজিনা আক্তার। জমি ও ঘর নেই তাদের।
তাই তাদের জন্য সরকারি খাস জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দ দিয়েছে সেই জমিতে একটি ঘর করে দেওয়ার জন্যও। কিন্তু এর প্রায় সাত মাস হয়ে গেলেও এখনো ঘর হয়নি তাদের। বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও সুবিধা করতে পারেননি ফারজিনার বাবা মো. সায়েম। তাই জন্মস্থান সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের দুর্গম গ্রাম ছেড়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জে চলে গিয়েছিলেন ফারজিনা ও তার বাবা-মা এবং ছোট ভাই-বোন। সেখানে দাদির কাছে ঘর ভাড়া নিয়েছে ফারজিনারা।
বিষয়টি নজরে আসে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর। এরপর তিনি ফারজিনার বাবাকে ফোনের মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৪ মে) নিজের অফিসে ডাকিয়ে আনেন। এরপর সায়েমকে ফারজিনার লেখাপড়া ও ভরণপোষণের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেন জেলা প্রশাসক। সেই সঙ্গে দ্রুত সরকারের দেওয়া জমিতে ফারজিনাদের জন্য ঘর নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এসময় ফারজিনার বাবা জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুনামগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে ফারজিনা। তখন তিনি ফারজিনাকে মিষ্টি খাওয়ান ও পরিবারের আর্থিক অবস্থার খবর নেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি ঘর করার আশ্বাস দেন এবং তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফারজিনার পরিবারের খোঁজ খবর রাখার নির্দেশনাও দেন। সেইসঙ্গে সায়েমের কাছে ফারজিনার লেখাপড়ার খরচ হিসেবে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা দেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফারজিনার বাবা ও মায়ের নামে যৌথভাবে ১০ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র (তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র) দেওয়া হয়। ফারজিনার পরিবারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন থেকে ফারজিনার বাবা ও মায়ের নামে তাহিরপুর উপজেলায় ১৭ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয় এবং বন্দোবস্ত দেওয়া জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য সমাজসেবা কার্যালয়ের অনুকূলে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।