১০ মে ২০২৪, ১১:৫৩

প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধেও ব্যবহার করা যায় ইয়াক-১৩০ বিমান

ইয়াকভলেভ ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান  © ইন্টারনেট

বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়ে একজন পাইলট মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উড্ডয়নরত অবস্থায় আগুন লাগার পর দুজন পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে আসেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। আরেক পাইলট উইং কমান্ডার সুহান জহুরুল হক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, ‘ওয়াইএকে-১৩০’ মডেলের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটির দুর্ঘটনায় পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটিতে আগুন লেগে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপরপরই আগুন লেগে যায়। একই মডেলের আরেকটি বিমান ২০১৭ সালে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। সেবার পাইলটরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। চট্টগ্রামের লোহাগড়ার বড় হাতিয়ার ফরিদারঘোনায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় তৈরি এ কমব্যাট প্রশিক্ষণ বিমানটির মূল নাম দ্যা ইয়াকভলেভ ইয়াক-১৩০, যা ওয়াইএকে বা ইয়াক-১৩০ নামে পরিচিত। দুই আসনের বিমানটি উচ্চতর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়। যুদ্ধেও হালকা মাত্রায় ব্যবহারের উপযোগী। স্বল্প মাত্রার আক্রমণে ব্যবহারের জন্য এটাকে কাজে লাগানো যায়।

আরো পড়ুন: স্বপ্ন ছিল পাইলট হবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও ভর্তি হননি আসিম

ইয়াক-১৩০ এর মানোন্নয়ন করে রাশিয়া ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করে। ২০১০ সালে রাশিয়ার বিমান বাহিনীতে সংযুক্ত হয় দুই ইঞ্জিনের বিমানটি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ২৪টি এ ধরণের বিমানের অর্ডার দেয়। পরে অবশ্য ১৬টি করা হয়। ২০১৬ সাল নাগাদ সব বিমান সরবরাহ সম্পন্ন করে রাশিয়া।

স্পুটনিকের তথ্য অনুযায়ী, হালকা ওজনের বিমানটি রাশিয়ার এডভান্সড মডেলের একটি ফাইটার। একইসঙ্গে এটিকে স্থল ভাগে হামলায় কিংবা আকাশ থেকে আকাশে উৎপক্ষেপনযোগ্য অস্ত্র বহনে ব্যবহার করা যায়।