গোপন কক্ষে ভোট দিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করলেন ছাত্রলীগ নেতা

ছাত্রলীগ নেতা নাফিউল
ছাত্রলীগ নেতা নাফিউল  © টিডিসি ফটো

জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। উপজেলা নির্বাচনে গোপন কক্ষে নিজের ভোট দিয়ে সেই ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। বুধবার (৮ মে) সকাল ১১টার দিকে জামালপুর পৌর শহরের জরিনা মিয়ার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ভোটার জানান, ছাত্রলীগ নেতা নাফিউল করীম রাব্বি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে গোপন কক্ষে যান। তার সাথে থাকা একজনকে দিয়ে ভিডিও এবং ছবি ধারণ করেন। পরে সেই ভিডিও এবং ছবি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এ বিষয়ে রাব্বি বলেন, আইডিটা এডমিন দিয়ে চালানো হয়। সে ভুলবশতঃ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। আমার নজরে আসার পরে ভিডিওটা সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

জরিনা মিয়ার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, গোপন কক্ষের মধ্যে ফোন নিয়ে যাওয়া ও ছবি তুলা আইন বিরোধী কাজ। বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ভোট কেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ছবি তোলা বেআইনি। এ  বিষয়ে কেউ আমাদের অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এই দফায় জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৬৯টি ভোট কেন্দ্রে ১৪১০টি ভোট কক্ষে সকাল ৮ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭০ জন পুরুষ ভোটার ও ২ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৮ জন নারী ভোটার রয়েছে। তবে এ নির্বাচনে ১৬৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৪টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

আর এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১ হাজার ২২ জন পুলিশ, ৩ হাজার ৪০৬ জন আনসার মোতায়েন রয়েছেন। এ ছাড়া বিজিবি ও র‍্যাবের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ