০৫ মে ২০২৪, ০৯:১০

কোথায় বৃষ্টি কোথায় তাপপ্রবাহ, যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া

কোথায় বৃষ্টি কোথায় তাপপ্রবাহ  © সংগৃহীত

সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়লেও দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, দেশের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে, যে কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। 

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, সোমবার (৬ মে) ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। পরশু সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়। বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের অন্য এলাকাগুলোর মতো রাজধানীতেও তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন এটি ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান গতকাল বলেন, এখন প্রাক্‌-মৌসুমি বায়ুর সময়। এ দেশের কোথাও তাপপ্রবাহ থাকতে পারে, আবার কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। কালবৈশাখীর এ সময় একেবারে সারা দেশে একসঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হয় না। 

দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তা-ও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটাও অস্বাভাবিক। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা প্রকৃতির এ আচরণকে অস্বাভাবিক বলছেন।

আরও পড়ুন: ফের ২৪ ঘণ্টা বাড়ল ‌‘হিট অ্যালার্ট’-এর মেয়াদ

এর আগে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেশে আবারও ২৪ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।