এখনো নেভেনি সুন্দরবনের আগুন
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া বনে লাগা আগুন নেভানো যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ফেরা বনরক্ষী ও স্থানীয়রা জানান, আমরবুনিয়ায় লতিফের ছিলা এলাকায় মাটির উপরে থাকা বিভিন্ন গাছের পাতার স্তুপে অন্তত ৫০টি স্থানে আগুন লেগেছে। এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুনের বিস্তৃতি লাভ করেছে। তবে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ বন্ধ রেখেছে বনবিভাগ।
স্থানীয়রা জানায়, খবর পেয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের কর্মকর্তা, বনরক্ষীসহ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আমরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছায়। তবে সন্ধ্যা হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ফায়ারফাইটিংয়ের মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, নিশ্চিত করে কিছু বলা না গেলেও মধু সংগ্রহকারীদের মশাল অথবা তাদের বিড়ি-সিগারেটের নিক্ষিপ্ত আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জিউধরা গ্রামের ছলেমান খান, শহিদুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, আ. কুদ্দুস জানান, তাঁরা প্রথমে সকাল ১১টার দিকে ধোঁয়া উড়তে দেখে আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের জানান। এ সময় ছয় থেকে সাতজন বনরক্ষী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে পার্শ্ববর্তী গ্রামে খবর দিলে শতাধিক লোক গিয়ে ফায়ার লেন কেটে আগুনের বিস্তৃতি রোধের চেষ্টা চালান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে বলে জানা গেছে।
পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করীম, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান অগ্নিকাণ্ডের এলাকায় উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁরা জানান, বর্তমানে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। তারা পাশের ড্রেনের খালে পাইপ স্থাপনের কাজ করছে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনও সহযোগিতা করছেন।
তাঁরা আরো জানান, অন্ধকার নেমে আসায় আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে তারাও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করবে। বন বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য ও গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে অবস্থান করবে।